এয়ারবাসের জরুরি সফটওয়্যার সতর্কতার তালিকায় যুক্ত হয়েছে পোপ লিও চতুর্দশকে বহনকারী আইটিএ এয়ারওয়েজের এ৩২০নিও বিমান। তীব্র সৌর বিকিরণে ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার ডেটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি চিহ্নিত হওয়ায় এ৩২০ পরিবারের প্রায় ছয় হাজার বিমানে বিশ্বব্যাপী এই সতর্কতা কার্যকর করা হচ্ছে।

ভ্যাটিকান জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলে অবস্থানকালে পোপের বিশেষ বিমানে অনবোর্ড ফ্লাইট কন্ট্রোল কম্পিউটার সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে। রোম থেকে জরুরি ভিত্তিতে একজন প্রযুক্তিবিদ ও নতুন কম্পিউটার ইউনিট পাঠানো হয়, যাতে ৩০ নভেম্বর ইস্তাম্বুল থেকে বৈরুতগামী পোপের পরবর্তী ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ অক্টোবর, যখন একটি জেটব্লু এয়ারবাস এ৩২০ আকস্মিক উচ্চতা হ্রাস করে এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন। পরবর্তী বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিরল সৌর বিকিরণ ফ্লাই-বাই-ওয়্যার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ডেটা ‘বিট ফ্লিপ’ ঘটিয়ে  করতে পারে। এ কারণেই এয়ারবাস Alert Operators Transmission জারি করে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন অ্যাভিয়েশন সেফটি এজেন্সির (EASA) জরুরি নির্দেশনার জন্য প্রস্তুত থাকে।

প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত হয়েছে Elevator and Aileron Computer (ELAC)–এ, যা বিমান নিয়ন্ত্রণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। বেশিরভাগ এয়ারলাইন সফটওয়্যার পুরোনো সংস্করণে ফিরে গিয়ে অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা যোগ করেছে, তবে কিছু বিমানে পুরো হার্ডওয়্যারই বদলাতে হচ্ছে—যা বড় ধরনের লজিস্টিক ও সময় ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

পোপের সফরব্যবস্থায় এই ঘটনা যতটা না আলোড়ন তুলেছে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

ভিআইপি ফ্লাইট হোক বা বাণিজ্যিক—সব এ৩২০ বিমানই একই নিরাপত্তা নির্দেশনার আওতায় পড়ে। দ্রুত যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও সার্টিফায়েড প্রযুক্তিবিদ থাকার ফলে আইটিএ এয়ারওয়েজ দ্রুত মেরামত সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক সফটওয়্যার-নির্ভর বিমানের যুগে এই ঘটনা প্রমাণ করে যে হার্ডওয়্যার প্রস্তুতি, সরবরাহ শৃঙ্খলা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা এখনো সমান গুরুত্বপূর্ণ।